ফখরুদ্দিন জাকের

ছড়াকার (১৯৫৩ - ১৯৭৮)

জীবনী

ফখরুদ্দিন জাকের

কবি ও ছড়াকার ফখরুদ্দিন জাকের এর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার দীঘা গ্রামে ১৯৫৩ এর ৯ ই সেপ্টেম্বর। তাঁর দাদী নুরুন্নেসা বেগম ময়মনসিংহের গফরগাঁ অঞ্চলে নারী শিক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করেন এবং দাদীর বাড়িতে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ছিল যেখানে কলকাতার দুর্লভ বইয়ের সমাহার ঘটে। এই সাহিত্যের সম্ভার থেকে জাকের অনুপ্রাণিত হন। ১৯৭৫ সালে রসটইটুম্বুর নামে তার প্রথম ছড়াগ্রন্থ প্রকাশের কাজ শুরু হয়। বইটি বাজারে আসার আগে ১৯৭৮ সালে ৯ সেপ্টেম্বর রেল দূর্ঘটনায় এই ছড়াকার মাত্র ২৫ বছরে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।

কবিতার উপাদান

ফখরুদ্দিন জাকের গভীর ভাবে শিশুসাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন। তাঁর লেখায় তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা, ব্যঙ্গ-রসের ভিতর তৎকালীন সমাজের বাস্তবতা উঠে এসেছে। তার ছড়াগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • সুক্ষ্ম হাস্যরস: “লা-জওয়াব” বা “শাস্তি”র মতো ছড়াগুলোতে প্রশ্ন আর কৌতুকের মাধ্যমে শিশুমনকে উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা চোখে পড়ে।
  • সমাজ সচেতনতা ও শিক্ষামূলক বার্তা: “নতুন নীতি” বা “হাত সাফাই” ছড়াগুলোতে শিক্ষামূলক দিক রয়েছে। কিন্তু ভাষা কখনও গুরুগম্ভীর নয়, বরং সাবলীল ও ছন্দময়।
  • চিত্রকল্প ও রূপকল্পের ব্যবহার: “লাল ঘোড়া”, “বক ধার্মিক” বা “আবদ্ধ উন্মাদ” নামগুলো থেকেই স্পষ্ট তাঁর কল্পনাশক্তি কতটা প্রগাঢ় ও প্রতীকী।
  • সাম্প্রতিকতা ও সময়চেতনা: “এই শহরে” বা “ম্যান বিজনেস”-এ শহুরে জীবন, বাণিজ্য এবং আচরণগত বৈপরীত্যের ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
  • বাচিক শক্তি ও মুখস্থযোগ্যতা: প্রতিটি ছড়া ছোটদের মুখস্থ রাখার উপযোগী করে লেখা হয়েছে, যেটি ছড়ার চিরায়ত বৈশিষ্ট্য বহন করে।
  • তার মৃত্যুর কারণটি রহস্যময়। কারো মতে তিনি কিছু সময় বিষন্নতায় আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরীর একটা কাঠের আলমিরায় ছড়াকারের হাতে চকে আঁকা পাঁচটি উপাদানের ছবি পাওয়া যায়, যাতে তার জীবনের দর্শন উঠে আসে – বৃষ্টি, মাছ, গাছ, পানি, ফুল, ফল

    উদ্ধারকৃত ছড়ার তালিকা

    প্রতিলিপির অধিকার

    বইটিতে আনুমানিক ৫০ টির মত ছড়া সংকলিত হয়েছিল। তার ভিতর ১৯টি পৃষ্ঠা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত ছড়াগুলো পত্রিকায় বা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই।